আমি বিজ্ঞানঘড়ির কাঁটায় চলি না ।
হৃদয়ঘড়িতে জীবন গুনি ।
আমি দিন গুনিনা পঞ্জিকার পাতায়,
অনুভবের খাতা উলটে দেখি
পৃথিবী ঘুরছেতো ঘুরছেই ।
কখনও চলে তার সাথে সূর্যের সঙ্গম ।
যখন দিগন্তে ডুবে যায় রবি,
দুঃখপ্রজাপতি উড়ে
রাতের আকাশে । তখন
পরকোয়া চলে চাঁদের সাথে ।
শরমে চাঁদনী লুকায় ;
অসংখ্য তারকা প্রহরী
পাহারা দেয় অন্ধকার ।
আমি মাস গুনি না,
বছর গুনিনা সংখ্যাতত্ত্বে ;
রক্তকণিকায় বোধ করি শীত ।
দারুন গ্রীষ্মে পোড়ায় খুব ;
দগ্ধ করে বুকের জমিন ।
বসন্তে জোসনা হাতছানি দিয়ে ডাকে ।
আবার শরৎ-হেমন্তে জেগে উঠি
সমুদ্রনীল আকাশের তলে ।
আমি কারও ঈর্ষায়, বিদ্রূপে, কটূ কথায়
দুঃখ পাই না ; বন্ধুর চোখে পাঠ করি
আভ্যন্তরীন মেঘ-বৃষ্টি ,
যন্ত্রনা-আনন্দ, আবহাওয়া ।
আমি প্রেম ছিন্তাই করি না ।
ভাঁটার সময় ভাঁটা; জোয়ারের ব্যাকুলতা
শোনার জন্য মৃত্তিকার বুকে
কান পেতে থাকি ।
এভাবেই, এভাবেই আমি হয়তো মানুষ নই ;
প্রকৃতির সাথে আমার চির-বন্ধন ;
অন্তরঙ্গ অতিপ্রাকৃতিক সম্পর্ক ;
তাই সভ্যতার অবক্ষয়ে আমার ভেতর
গভীর ক্রন্দন ।