কানাডা প্রবাসী প্রতিটি বাঙ্গালী একটি সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে আসেন এই দেশটিতে। অন্য আট-দশটা স্বপ্নরে সঙ্গে এই স্বপ্নরে তুলনা চলে না। আর এই স্বপ্নটা হলো, আমাদের সšতানেরা যেন এই দেশটিতে সুখে শাšিততে বাস করতে পারে। লেখাপড়া, কর্মক্ষত্রে, সংসার জীবন সবখানেই যেন তারা সাফল্য অর্জন করতে পারে।
সšতানের সুখ শাšিত ও সাফল্য কে না চায়? আর সেই চাওয়া থেকেই তো অধিকাংশ বাংলাদেশীর এই প্রবাসে আসা। প্রশ্ন উঠতে পারে, সুখ শাšিত আর সাফল্যের সুযোগ কি বাংলাদেশে নেই? আমি বলবো আছে, তবে তা সীমিত আকারে এবং সীমিত পরিবারের ছেলে-মেয়েদের জন্য। তাছাড়া নিরাপত্তার প্রশ্নটিও রয়েছে। বাংলাদেশে কয়জন বাবা মা ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে উৎকণ্ঠাহীন ভাবে ঘরে বসে থাকতে পারেন?
আরো আছে শিক্ষার নামে বাণিজ্য। বর্তমানে ঢাকায় একটি শিশুর পিছনে বাবা মা’কে গড়ে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করতে হয় প্রতি মাসে যদি ভাল কোন স্কুলে পড়াতে হয়। উচ্চ মূল্যর টিউশন ফি ছাড়াও প্রতিটি সাবজেক্টের জন্য আলাদা প্রাইভেট টিউটর রাখতে হয় অনেক টাকা বেতন দিয়ে। ঐ টিউটরগণ আবার স্কুলেরই শিক্ষক। তাদের কাছে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে না পড়ালে ভাল নম্বর পাওয়া যায় না! আরো আছে ভর্তির সময় কোন কোন স্কুলে বিরাট অংকের টাকা চাঁদা হিসাবে আদায়ের রেওয়াজ।
স্কুল পর্ব শেষ হওয়ার পর যুদ্ধ শুরু হয় ভাল কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে। তীব্র প্রতিযোগিতায় ছিটকে পড়ে অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী। ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে গিয়েও একই অবস্থার শিকার হতে হয় অধিকাংশ ছাত্র- ছাত্রীকে।
এর পর আছে চাকরীর বাজারে তীব্র ও অসম প্রতিযোগিতা। ইউনিভার্সিটি পর্ব শেষ করে ছেলে-মেয়েদেরকে অসম প্রতিযোগিতার মুখমুখি হতে হয় সরকারী চাকরী পেতে গিয়েও। স্বজনপ্রীতি আছে প্রতি পদে পদে।
কিন্তু কানাডায় আমরা এ সকল আপদ থেকে একেবারেই মুক্ত। ছেলে- মেয়েদেরকে স্কুলে দিয়ে আমরা নিশ্চিšত মনে থাকতে পারি। টিউশন ফি নেই, নেই শিক্ষার নামে স্কুল শিক্ষকদের অসৎ বাণিজ্য। স্কুল থেকে কলেজ, কলেজ থেকে ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার পর্বেও কোন অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা নেই। আর অন্টারিওতে শুরু হতে যাচ্ছে সীমিত আয়ের পরিবারের ছেলে-মেয়েদের জন্য প্রায় বিনা টিউশন ফি’তে কলেজ-ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা লাভের সুযোগ।
আমরা যারা প্রথম প্রজন্মের অভিবাসী, তাদের মধ্যে অনেকেরই মনে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে এই ভেবে যে, কানাডায় এসে আমরা কিছুই করতে পারিনি। ডাক্তারগণ ডাক্তারী পেশায় নেই, ইঞ্জিনিয়ারগণ ইঞ্জিনিয়ারিং পেশায় নেই, কৃষিবিজ্ঞানীগণ কৃষি পেশায় নেই। এরকম আরো বহু পেশাজীবী অভিবাসীগণ তাদের নিজ নিজ পেশায় নেই। হাতে গোনা দুই চারজন ছাড়া বাকী সবাইকে পেশা বদল করে নিম্ন আয়ের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত করতে হয়েছে। ফলে এদের অনেকেই রয়েছেন তীব্র মানসিক চাপ ও যন্ত্রনার মধ্যে। সেই সাথে শারীরিক চাপও রয়েছে। যারা এই শারীরিক ও মানসিক চাপকে সামাল দিতে পারছেন না তারা বুড়িয়ে যাচ্ছেন দ্রুত। শরীর ও মনে বাসা বাধছে নানান রোগ। দেখা দিচ্ছে পারিবারিক অশাšিত।
তবে এত হতাশার মাঝেও আশার আলো দেখাচ্ছে প্রবাসে আমাদের দ্বিতীয় প্রজন্ম। কানাডার আপদমুক্ত এই পরিবেশে আমাদের ছেলে- মেয়েরা সাফল্যের প্রতিযোগিতায় ছাড়িয়ে যাচ্ছে তাদের সমবয়সী কানাডিয়ানদেরকেও! এমনকি বয়সে বড় কানাডিয়ানদেরকে হার মানাচ্ছে তারা সাফল্যের দৌড়ে!
একাডেমিক এচিভমেন্টসহ চাকরী ক্ষেত্রে সাফল্যের অনেক নজীর ইতিমধ্যেই তৈরী করে ফেলেছে কানাডায় আমাদের দ্বিতীয় প্রজন্মের তরুনেরা। এমনি এক বাঙ্গালী তরুনের নাম গালিব ইসলাম। সে ইংরেজীতে তার প্রথম উপন্যাস লিখেই কানাডায় আলোচনার ঝড় তুলে দিয়েছিল কয়েক বছর আগে। টরন্টো স্টার, গ্লোব এন্ড মেইলসহ কানাডার মেইনস্ট্রিমের খ্যাতিমান পত্রিকাগুলোতে তার ভূয়সী প্রশংসা করে ছাপা হয়েছিল বিভিন্ন প্রতিবেদন। গালিব ইসলামের জন্ম বাংলাদেশে। ১৯৮১ সালে। ১৯৮৮ সালে গালিবের পরিবার ইমিগ্র্যান্ট হয়ে কানাডায় আসেন। অনেক লেখকের মতো গালিবও শৈশবে স্বপ্ন দেখতো বড় লেখক হওয়ার। আর সেই স্বপ্নকে বা¯তবায়িত করতে গালিব টরন্টো ইউনির্ভাসিটিতে এম এ তে ভর্তি হয় ‘ক্রিয়েটিভ রাইটিং’ বিভাগে ২০০৪ সালে। গালিবের ভাষ্য, “আমি শুধু একজন লেখকই হতে চাইনি - আমি ভেতর থেকে একটি উপন্যাস লেখার তাগিদ অনুভব করছিলাম। মার্গারেট এটউডকে ভাবতাম আমার ‘মেন্টর’ হিসেবে।”
গালিবের লেখা সেই উপন্যাসটির নাম-‘ফায়ার ইন দ্য আননেমবল কান্ট্রি’। এ উপন্যাস স¤র্কে মার্গারেট এটউডের মšতব্য, “আমি পান্ডুলিপি দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম। তার ভাবনায় মৌলিকতা আছে এবং সে যে একজন প্রতিভাবান লেখক, এই উপন্যাসে তার সু®ষ্ট স্বাক্ষর রেখেছে সে।”
এদিকে স্ট্যাটিসটিক্স কানাডার এক সমীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে-কানাডায় জন্মগ্রহণকারী বাবা-মা’র সšতানদের চেয়ে অভিবাসী বাবা-মা’র সšতানদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। কুইন্স ইউনিভার্সিটির গার্নেট পিকট এবং ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটির ফেং হউ লিখেছেন, ‘‘কানাডায় অভিবাসী ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রমে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাচ্ছে।’’ কানাডার প্রধান প্রধান শহরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংগ্রহ করা সমীক্ষার পরিসংখ্যানে এটি নিশ্চিত যে, দৃশ্যত সংখ্যালঘু অভিবাসীদের সšতানেরাই অনার্স ক্লাসে এবং ব্যবসায়, বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের মত বিষয়গুলোতে সাফল্যের পরিচয় দিচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এক পরিসংখ্যানেও দেখা গেছে যে, ওখানকার অভিবাসীদের সšতানেরা চাকরি ক্ষেত্রে গড়ে বেশি বেতন পাচ্ছে এবং শিক্ষা ক্ষেত্রেও তারাই এগিয়ে রয়েছে। সমীক্ষায় প্রকাশিত অনেক বা¯তব তথ্যের মধ্যে একটি হলো, উত্তর আমেরিকায় যেসব শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে ইংরেজি শিখতে হয় তারা একারণে কোন রকম অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছে না।
প্রবাসের এই দ্বিতীয় প্রজন্মের তরুনদের সাফল্যর কথা উঠে এসেছে একটি গবেষণা পত্রেও যেটি কয়েক বছর আগে প্রকাশিত হয়েছিল স্যোসাল সাইন্স রিসার্স জার্নালে। টরন্টো ইউনিভারসিটির অধ্যাপক জেফরী জি. রিটজ্ ও অধ্যাপক নাওকো হকিংস এবং মন্ট্রিয়লের ম্যাকগিল ইউনিভারসিটির অধ্যাপক হিদার জ্যাং তাদের ঐ গবেষনা পত্রে উল্লেখ করেছেন, কানাডায় মেইনস্ট্রিম জনগোষ্ঠির মধ্যে যাদের বয়স ২৫ থেকে ৩৯ তাদের বাৎসরিক আয় ৫০ হাজার ডলার। অন্যদিকে চীনা বংশোদ্ভূত দ্বিতীয় প্রজন্মের তরুনদের বাৎসরিক আয় ৬৩ হাজার ডলার।
কানাডায় আমরা দেখেছি আমাদের বাংলাদেশী ছেলে-মেয়েরা ইউনিভার্সিটির পর্ব শেষ করে কর্ম ক্ষেেত্র প্রবেশ করছে এরকমই ৬০/৬৫ হাজার বা তারো বেশী আয়ের চাকরী নিয়ে। কর্মক্ষেত্রে এটি তাদের শুরুর দিকের আয়। ক্রমান্বয়ে তাদের এই আয় আরো বৃদ্ধি পেতে থাকব।ে আর যারা দক্ষিণে অর্থাৎ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যায় চাকরীর সন্ধানে তাদের আয় সোয়া লাখ থেকে দেড় বা দুই লাখেও পৌঁছে যায়।
দ্বিতীয় প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের সাফল্যের এই চিত্রটি কেবল কানাডার ক্ষেত্রেই যে সত্যি তা নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়াতেও দেখা গেছে এই একই চিত্র। ঐ দুটি দেশেও প্রচুর সংখ্যক প্রথম প্রজন্মের চীনা ও দক্ষিণ এশীয় অভিবাসী বাস করেন। তাদের ছেলে-মেয়েরাও কানাডার অভিবাসী ছেলে-মেয়েদের মত লেখাপড়া ও চাকরীর ক্ষেত্রে মেইনস্ট্রিম ছেলে-মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে আছে। উপরে উল্লেখিত ঐ তিন অধ্যাপকের পরিচালিত গবেষণায় এই তথ্যই উঠে এসেছে। তাদের গবেষনায় দেখা যায়, উল্লেখিত তিনটি দেশেই এশিয়ান ছেলে-মেয়েরা শিক্ষা ক্ষেত্রে মেইনস্ট্রিম ছেলে-মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে আছে। অর্থনৈতিক সাফল্যের ক্ষেত্রেও একই চিত্র। ঐ তিনটি দেশে এশিয়ান ছেলে-মেয়েরা মেইনস্ট্রিম ছেলে-মেয়েদের চেয়ে এগিয়ে আছে যার মধ্যে আছে বাংলাদেশী ছেলে-মেয়েরাও।
অন্য এক হিসাবে দেখা যায় কানাডায় উচ্চশিক্ষিতের হার অনেক বেশী। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের চেয়েও। কানাডার নাগরিকদের মধ্যে শতকরা ৪৭ ভাগ পোস্ট সেকেন্ডারী স্কুলে ভর্তি হয়। আর এদের মধ্যে অভিবাসীদের সংখ্যা বেশী! স্ট্যাটিসটিক্স কানাডার হিসেব (২০০৯) অনুযায়ী দেখা যায়, ষাটের দশকে আসা অভিবাসীদের দ্বিতীয় প্রজন্মের ছেলে-মেয়েদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি নেয়ার হার কানাডায় জন্ম নেয়া ছেলে-মেয়েদের চেয়ে শতকরা ৬ ভাগ বেশী ছিল। আশির দশকে এসে দেখা গেছে এই হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সময়কার শতকরা ৩২ভাগ অভিবাসী ছেলে-মেয়ে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি অর্জন করতো এবং কানাডায় জন্ম নেয়া ছেলে- মেয়েদের তুলনায় তাদের সংখ্যা ছিল শতকরা ২০ ভাগেরও বেশী।
উল্লেখযোগ্য যে, আশির দশকে কানাডায় এশিয় অভিবাসীদের আগমন অনেক বৃদ্ধি পায়। এশিয় অভিবাসীদের কানাডায় আসার যতগুলো কারণ আছে তার মধ্যে তাদের ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা একটি অন্যতম কারণ। ২০০৬ সালে কানাডার আদম শুমারীর হিসেবে দেখা গেছে অভিবাসী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে শতকরা ৩৬ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিধারী।
সাধারণভাবে দেখা যায়, বাবা-মা উচ্চ শিক্ষিত হলে তাদের ছেলে- মেয়েরাও উচ্চ শিক্ষিত হয়। ব্যতিক্রম যে ঘটেনা তা নয়। ব্যতিক্রমের দু একটি ঘটনা বাদ দিলে দেখা যায় অভিবাসী ছেলে-মেয়েরা অভিবাসী বাবা-মায়ের খুব নজরদারীতে থাকে। কানাডায় বাংলাদেশীরাও এর ব্যতিক্রম নয়।
শুরুতেই যা বলছিলাম - কানাডা প্রবাসী প্রতিটি বাঙ্গালী একটি সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে আসেন এই দেশটিতে। সেই স্বপ্নটি হলো সšতানদের সুখী ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যত। সšতানেরা যেন এই দেশটিতে সুখে শাšিততে বাস করতে পারে। লেখা পড়া, কর্মক্ষত্রে, সংসার জীবন সবখানেই যেন তারা সাফল্য অর্জন করতে পারে এই প্রচেষ্টায়ই তাদের মধ্যে সার্বক্ষণিক কাজ করে। আর এ কারণে বাংলাদেশীরা নতুন একটি দেশে এসে নতুন একটি সংস্কৃতির মধ্যে ছেলে-মেয়েদেরকে সহসাই স্বাধীনভাবে ছেড়ে দেন না। ফলে অভিবাসী ছেলে-মেয়েদের শৈশব কাটে মোটামুটি নজরদারির মধ্যে। এ কারণে বখে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে অভিবাসী ছেলে-মেয়েদের বেলায়।
অন্যদিকে অভিবাসীদের ছেলে-মেয়েরা দেখে নতুন একটি দেশে এসে তাদের বাবা-মায়েরা কিরকম অক্লাšত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এবং এই পরিশ্রম যে তাদেরই জন্য তাদের বাবা-মা করে যাচ্ছেন এই বিষয়টিও তারা উপলব্ধি করে। অভিবাসী শিশুদের অনেকেই আবার দেখে তাদের বাবা-মা অক্লাšত পরিশ্রম করেও স্বচ্ছলতার মুখ দেখতে পায় না। এই সব কিছু মিলিয়ে অভিবাসী ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এক ধরণের জেদ বা অঙ্গীকার জন্ম নেয়। সেটি আর কিছুই নয়, জীবনে উন্নতি করতে হবে। বাবা মায়ের কষ্ট লাঘব করতে হবে।
প্রবাসে অভিবাসী ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ায় ভাল করা এবং কর্মক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করার পিছনে এই বিষয়গুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রভাব বি¯তার করে। আর তা দেখে অভিভূত এবং আনন্দিত হন অভিবাসী বাবা-মায়েরা। প্রবাসে ছেলে-মেয়েদের সুন্দর ভবিষ্যত গড়ে তোলার পাশাপাশি দ্বিতীয় আরেকটি স্বপ্নও আমাদের মধ্যে থাকে। সেটি হলো নিজেদের পেশায় উন্নতি ও সাফল্য লাভ করা। কিন্তু সেই স্বপ্ন আমাদের প্রথম প্রজন্মের অধিকাংশ অভিবাসীর ক্ষেত্রে সফল হয়নি। সেই স্বপ্ন আমাদের স্বপ্নই থেকে গেছে। কিন্তু আমাদের সšতানেরা আমাদের সেই স্বপ্নকে অতিক্রম করতে শুরু করেছে। শিক্ষায় ও কর্মক্ষেত্রে তারা নিজেদেরকে সফল প্রজন্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছে। এটাইতো কানাডায় আমরা যারা প্র ম প্রজন্মের বাংলাদেশী তাদের কাছে অনেক অনেক বড় পাওয়া। আমাদের ছেলে-মেয়েরা আমাদের সুন্দর স্বপ্নকে বা¯তবায়িত করছে। তার চেয়ে আনন্দের খবর আর কি হতে পারে?
খুরশিদ আলম
সম্পাদক ও প্রকাশক
প্রবাসী কন্ঠ