অবশেষে মা... দেলোয়ার হোসেন
আজও স্মৃতিতে ভাসে বিদায়ের সুর
আমি দেখেছি মায়ের বুকফাটা আর্তনাদ
শুনেছি মায়ের সব হারানোর নিঃস্বার্থ কান্না।
আমি আজও শুনি মায়ের সেই রোদন
চোখ বুঁজলেই দেখি মায়ের ক্রন্দন
সদা মায়ের টানেই বাঁচে মায়াবী এই ভূবন।
তুমি কি কখনও গভীরভাবে ভেবেছো মাকে নিয়ে?
ভাববেই বা কেন, হারাওনি তো আর তাকে!
তুমি যাবে, যাবে আমার সাথে সেই খানে,
যেখানে রয়েছে অকৃত্রিমতা, রয়েছে শুধু প্রশান্তি,
রয়েছে আত্মার খোরাক, আর স্নেহ-ভালোবাসার পরশ
এ যেন নিশ্চিন্ত বসবাস, মাথার উপর স্নেহময় এক আঁচল।
শুনবে এক মা আর তার সন্তানদের উপাখ্যান ?
বেশ বয়স্কই মা, অসংখ্য ব্যারামে ভরপুর
অধিকাংশ ছেলেমেয়েই থাকে দেশের বাইরে,
বলা যায় একরকম একাই থাকেন মা,
সহসা হৃদপিন্ডে কম্পন, তার শেষ সময় প্রায় সন্নিকটে,
আই, সি, ইউ তে তার পাশে দাঁড়িয়ে সন্তানদের কয়েকজন
কোন ঔষধেই আর মানছে না শরীর,
খবর পেয়ে ছুটে এলেন প্রবাসী সন্তানেরা,
সবাইকে দেখে নতুন করে জীবন পেলেন মা।
ভালোই আছি আমরা, উন্নত প্রযুক্তির সভ্য সমাজে
নেই ঘাটতি ভালোবাসার, লৈকিকতার
অযথাই বলে যাই ‘তোমায় ভালোবাসি’
মাঝে মাঝে চলার পথে হঠাৎ থমকে দাঁড়াই
ভাবি চীৎকার করে বলি সব মিথ্যে, নকল, অর্থহীন কথকথা।