ইদানিং বল্টু চিন্তা খুব বেশি করছে ,
তা দেখে তার বৌ বলল। সবসময়ই অত চিন্তা করো না তো।
দরকার হলে চিন্তা করার জন্য একটা লোক রেখে দাও।
যেমন বলা তেমন কাজ, দরজার বাইরে একটা কাগজে লিখে রেখে দিল। চিন্তা করার জন্য একজন লোকের দরকার।
একজন বেকার যুবক সেই কাগজ পড়ে বল্টুর কাছে গেল।
যুবক- আমি আপনার কাছে কাজ করতে ইচ্ছুক। কিন্ত আপনি আমাকে মাইনে কত দেবেন?
বল্টু - তোমাকে আমি মাসে দশ হাজার টাকা দেবো।
যুবক - একটা কথা জিজ্ঞেস করব কিছু মনে করবেন না।
বল্টু - না না বলো।
যুবক - আপনি কত রোজগার করেন।
বল্টু - আমি মাসে তিন হাজার টাকা কামাই।
যুবক - তাহলে আমকে দশ হাজার টাকা কোথা থেকে দেবেন?
বল্টু - সেটা চিন্তা করাটাই তো তোমার কাজ
-------------------------------------------------------------------------------
একজন সাংবাদিক এক কৃষকের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে -
সাংবাদিকঃ তুমি ছাগল দুডোর কি খাতি দ্যাও?
কৃষকঃ কোন ছাগলডার, সাদাডার নাকি কালা ছাগলডা?
সাংবাদিকঃ কালাডার।
কৃষকঃ ঘাস।
সাংবাদিকঃ আর সাদাডার?
কৃষকঃ উডারু ঘাস খাতি দিই।
সাংবাদিকঃ তুমি ছাগল দুডোর কনে বাইন্দে রাকো?
কৃষকঃ কোন ছাগলডা, সাদাডা না কালাডা?
সাংবাদিকঃ কালাডা।
কৃষকঃ গোয়ালি এটটা খুটিস সাতে।
সাংবাদিকঃ আর সাদাডা?
কৃষকঃ উডারু গোয়ালি ঐ একই খুটিসসাতে বাইন্দে রাকি।
সাংবাদিকঃ তুমি ছাগলদুডোর কি ভাবে ছ্যান করাও?
কৃষকঃ কোন ছাগলডা, সাদাডা না কালাডা?
সাংবাদিকঃ কালাডা।
কৃষকঃ পানি দিয়ে ছ্যান করাই।
সাংবাদিকঃ আর সাদাডা?
কৃষকঃ উডারু পানি দিয়ে ছ্যান করাই।
সাংবাদিকঃ (খুব রেগে মেগে) দুডো ছাগলের সাতে যকন সপকিচু একই হচ্চে তকন বারেবারে আমাকে জিগ্গেস করা হচ্চে কেন যে সাদাডা না কালাডা?
কৃষকঃ কারণ কালা ছাগলডা আমার।
সাংবাদিকঃ আর সাদা ছাগল ডা?
কৃষকঃ উডাও আমার।
এই কথা শুনে সাংবাদিক রাগে বাক হারা হয়ে গেল।
এবার কৃষক হাসি মুখে বলল, ‘এইবের বুজিচেন, যকন রেডিও - টিভিতি একই খবর বারেবারে কয়ে আমাগেরে কানের পুকা বের করে দেন তকন আমাগেরে কিরাম ঠ্যাকে?’
.............................................................................................................................................................
ডাক্তারঃ শুনুন, আগামীকাল সকালবেলায় প্রস্রাব টেষ্ট করবো। এই বোতলে আপনার ইউরিন নিয়ে আসবেন।
রোগীঃ তো, টেষ্ট কি আপনি করবেন না আপনার সহকারী করবেন?
ডাক্তারঃ আরে না, আমি নিজেই টেষ্ট করবো।
পরের দিন সকালবেলা রোগী বোতল ভরা প্রস্রাব এবং এক প্যাকেট চানাচুর এনে ডাক্তারকে দিলেন।
ডাক্তারঃ প্রস্রাবের বোতল ঠিক আছে, কিন্তু চানাচুরের প্যাকেট কেন আনলেন?
রোগীঃ না, ভাবলাম খালি মুখে টেষ্ট করবেন... ব্যাপারটা কেমন দেখায়, তাই চানাচুর আনলাম।
....................................................................................................
একটি গাধা খুব ভীত ভাবে জঙ্গল দিয়ে জোরে দৌড়াচ্ছিলো এক ইঁদুর তাকে জিজ্ঞাসা করলো : কি হয়েছে ? এতো জোরে দৌড়ে কোথায় যাচ্ছ ? গাধা বললো : তুমি জানো না ? জঙ্গলে পুলিশ এসেছে, হাতিদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে !
ইঁদুর আশ্চর্য হয়ে বললো : তা হাতিদের তো ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কিন্তু তুমি তো গাধা, তুমি ভয়ে দৌড়াচ্ছ কেন ?
গাধা বললো : আরে ভাই, আইনের যে অবস্থা , আমাকে ধরে নিয়ে গেলে ২০ বছর তো আদালতে এটা প্রমান করতেই লাগবে যে আমি হাতি নই গাধা ...
এই শুনে ইঁদুর ও দৌড় লাগালো
....................................................................................................
আবুল সাহেব এর স্ত্রীর ৩৫তম জন্মদিন ছিলো ।
কিন্তু উনি ব্যবসার কাজে শহরের বাইরে থাকায় ২৫টি গোলাপ ফুল অর্ডার দেন আর স্ত্রীকে হোম ডেলিভারী করতে বলেন।
ফুলের সাথে একটি চিঠিও লেখেন...."প্রিয়তমা, আমার চোখে তোমার বয়স যত মনে হয়, ঠিক ততগুলো ফুল পাঠালাম"।
আর অন্যদিকে, ওই ফুলওয়ালা নতুন দোকান খোলায় সবাইকে একটি ফুলের সাথে আর একটি ফুল ফ্রী দিচ্ছিলো।
আবুল সাহেবকেও ২৫ টিতে ২৫টি ফ্রী ফুল একসাথে বেঁধে বাড়িতে ডেলিভারী দিয়ে এলো !!
আজ পর্যন্ত আবুল সাহেব বুঝতেই পারলেন না যে, তাঁর ডিভোর্স কেন হলো !!!
—————————————————————-
টাটা মটরস এর বস সকালে অফিসে এসেছেন। ভুলে তার প্যান্টের জিপ খোলা রয়ে গেছে। ব্যাপারটা ধরিয়ে দিতে সুন্দরী সেক্রেটারি এগিয়ে এসে বললেন: স্যার বোধ হয় বাসা থেকে বেরুনোর সময় গ্যারাজের দরজা বন্ধ করতে ভুলে গেছেন।
সূত্রটা বস ঠিক ধরতে পারলেন না।
কৌতুহল হলেও সরাসরি জিজ্ঞেস করাটা সমীচীন নয় ভেবে নিজ রুমে গিয়ে কাজে মন দিলেন। কিছুক্ষন পর লক্ষ্য করলেন তার প্যান্টের জিপ খোলা !!!
সকালে সেক্রেটারির কথার মর্ম এবার তিনি বুঝলেন আর অস্থির হলেন এই কারনে যে, আজ তিনি প্যান্টের নিচে আন্ডি পড়তেও ভুলে গেছেন। শরমের ব্যাপার !!! যাই হোক, তিনি সেক্রেটারির অবজার্ভেশন যাচাই করতে তার রুমে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন: বাই দ্য ওয়ে তানিয়া, সকালে যখন আমার গ্যারাজের দরজা খোলা দেখেছিলে, তখন কি সেখানে পার্ক করা আমার Jaguar টা দেখতে পেয়েছিলে?
সেক্রেটারির সপ্রতিভ উত্তর: না স্যার, শুধু দেখেছি একটা TATA NANO আর দুটো ফ্ল্যাট টায়ার।
—————————————————————-
এফএম রেডিও স্টেশনে ফোন করল বল্টু
বল্টু: "হ্যালো, এটা কী এফএম চ্যানেল ??"
এফ এম চ্যানেল : হ্যাঁ! বলুন।
বল্টু : আমার কথা কি শহর জুড়ে শোনা যাচ্ছে ?
এফ এম চ্যানেল : হ্যাঁ! সবাই শুনতে পাচ্ছে বলুন।
বল্টু : তারমানে আমার বোন যে রেডিও শুনছে, সেও শুনতে পাচ্ছে ?
এফ এম চ্যানেল : (রাগতস্বরে) আরে গাধা! হ্যাঁ!
বল্টু : হ্যালো পিংকি! যদি আমার কথা শুনতে পাস তাহলে জলদি পানির পাম্প চালু কর। আমি কমোডে বসে আছি। পানি শেষ। তোর মোবাইল সুচইড অফ। তাড়াতাড়ি করিস l
—————————————————————-
পচার দাঁতে পোকা হয়েছে।
ডেন্টিস্টের কাছে না গিয়ে সে গেল এক সাধুবাবার কাছে। সাধু তাকে পরামর্শ দিল পর পর তিনদিন রোজ সন্ধ্যায় Whisky আর কাবাব খেতে। আর চতুর্থ দিন শুধু কাবাব খেতে।
পচা সেই মতো তিনদিন Whisky আর কাবাব এবং তার পরের দিন শুধু কাবাব খেল।
সেই রাতেই পোকা বেরিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করল " দাদা, আজ Whisky নেই ?"
—————————————————————-
জনৈকঃ আচ্ছা একটা বাঘ যদি তোমার শ্বাশুড়ী এবং স্ত্রীকে একই সাথে আক্রমণ করে, তুমি আগে কাকে বাঁচানোর চেষ্টা করবে?
উত্তরদাতাঃ বাঘটাকে। বেচারীরাতো এখন endangered species. সংখ্যায় খুব বেশী নাই আর।”
—————————————————————-
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাসায় বড় বড় কবিদের আড্ডা হচ্ছে।বল্টু সেখানে সবার জন্যে চা বানিয়ে নিয়ে গেছে।বল্টুর বনানো চা খেয়ে প্রথমে "কবিগুরু" বললেন,আমারো পরাণো যাহা চায়, তার কিছু নাই, কিছুই নাহি এই চায়ে গো.....'
এটা শুনে বিদ্রোহী কবি নজরুল লাফ দিয়ে উঠে বললেন,"আমি বিদ্রোহী রণক্লান্ত, আমি সেইদিন হব শান্ত! যদি ভালো করে কেউ চা বানিয়ে আনতো!"
নজরুলের কথা শুনে..উদাস মুখে জীবনানন্দ দাস বললেন, আর আসিবনা ফিরে,রবি ঠাকুরের নীড়ে, গরম চায়ে মুখ দিয়ে ঠোঁট গিয়েছে পুড়ে...
খানিক পরেই কবি সুকান্ত বললেন, 'কবিতা তোমাকে দিলাম বিদায়, এক কাপ চা যেনো ঝলসানো ছাই!
হেলাল হাফিজ তখন গুমরে বললেন,'নষ্ট পাতির সস্তা চায়ে মুখ হয়েছে তিতা! কষ্ট চেপে নষ্ট চায়ে, মুখ দিয়েছি কিতা?' রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ নরম কন্ঠে বললেন, 'ভালো আছি,ভালো থেকো!চায়েতে চিনি বেশি মেখো!দিও তোমার......
তাকে থামিয়ে দিয়ে কবি নির্মলেন্দু গুণ বললেন,'আমি হয়তো মানুষ না, মানুষগুলো অন্যরকম! মানুষ হলে এমন চায়ে চুমুক দিতাম না!'.
পরিশেষে রবীন্দ্রনাথ অসহায় চোখে বল্টুর পানে তাকিয়ে বললেন."ওরে অধম, ওরে কাঁচা! ভালো করে চা বানিয়ে, আমাকে তুই বাঁচা!"