Table of Content

Editor
NA
NA
29 articles

Jokes/কৌতুক

লেখক: Editor Category: কৌতুক (Jokes) Edition: Dhaboman - Eid 2018

একজন ইমাম হঠাৎ ঘোষণা দিলেন যে তিনি কানাডার এই শীত আর সহ্য করতে পারছেন না। তিনি ফ্লোরিডায় কোন মসজিদে কাজ নিয়ে চলে যাচ্ছেন। তার বর্তমান মসজিদের নামাজীরা খুবই বেদনাহত। একজন তার কাছে এসে বলল, “ইমাম সাহেব, আপনি চলে যাচ্ছেন শুনে বুকটা ফেটে যাচ্ছে। আমরা চাই আপনি থেকে যান।” কোমলমনা ইমাম বললেন, “আল্লাহর ইচ্ছায় কি আমদের হাত আছে। হয়ত আমার স্থানে যিনি আসবেন তিনি আমার চেয়েও ভালো হবেন।” এই কথা শূনে লোকটি ক্ষুন্ন গলায় বলল, “হ্যা, গতবারের ইমাম সাহেব যাবার সময়েও ঠিক এই কথাই বলেছিলেন!”

.......................................................................................................................................................

নামাজের পর এক ইমাম সাহেব উঠে দাঁড়িয়ে বললেন, “আমার কাছে একটা ভালো খবর এবং একটা খারাপ খবর আছে। ভালো খবর হচ্ছে, এই মসজিদটাকে দোতলা করবার মত যথেষ্ট অর্থ আমাদের আছে। আর খারাপ খবরটা হল, সেই অর্থ এখনও আপনাদের  পকেটেই রয়ে গেছে।”

.......................................................................................................................................................

আরবের এক ইমাম তার ঘোড়া বিক্রি করবেন। এক হবু ক্রেতা ঘোড়াটাকে একটু চড়ে দেখতে চাইল। ইমাম তাকে জানালেন, সোবহানাল্লাহ বললে ঘোড়াটা হাঁটে, আলহামদুলিল্লাহ বললে দৌড়ায় এবং আল্লাহু আকবর বললে থামে। লোকটা ঘোড়ার পিঠে চেপে বসে বলল, “সোবহানাল্লাহ।”  ঘোড়া চলতে শুরু করল। একটু পরে লোকটা বলল, “আলহামদুলিল্লাহ”। ঘোড়া  দৌড়াতে শুরু করল। হঠাৎ লোকটা লক্ষ্য করল সামনেই এক পাহাড়ের খাঁজ। পড়লে নির্ঘাত মৃত্যু। ভয়ে ঘোড়া থামাতে হলে কি বলতে হবে তার মনে পড়ছে না। সে নানা কিছু বলে যাচ্ছে। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। একেবারে খাঁজের কাছে গিয়ে তার মনে পড়ল কি বলতে হবে। সে চীৎকার করে বলল, “আল্লাহু আকবর।” খাঁজ থেকে দুই পা পেছনে ঘোড়াটা থেমে গেল। লোকটা একটা পরিত্রাণের নিঃশ্বাস ছেড়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, “আলহামদুলিল্লাহ!”।   

 .......................................................................................................................................................

One morning, one of Nasruddin's friends came to him and said: "Dear Nasruddin, will you please lend me your donkey? I have to travel to the next village to deliver some goods by sundown."

"Oh", replied Nasruddin with a pretension of anxiety, "but mine has already been taken by somebody else."

Just then the bray of a donkey was heard.

The man said, "You said your donkey has been taken but there it is. Is it not?"

Nasruddin replied, "You are a strange and stupid friend. Even after forty years of friendship, you listen to a donkey but not to me. You shall not have my donkey".

 .......................................................................................................................................................

এক ভারতীয় ট্যাক্সি ড্রাইভার এক জাপানী টুরিস্টকে হোটেল থেকে তুলে নিয়েছে। পথে একটা হোণ্ডা মটর সাইকেল ভোস করে তাদেরকে পাশ কাটিয়ে চলে গেল। জাপানী বলল, “অনেক ফাস্ট মটরসাইকেল। জাপানে বানানো।” একটু পরে একটা টয়োটা গাড়ী তাদের পাশ দিয়ে ভোস করে চলে গেল। জাপানী আবার বলল, “জাপানী গাড়ী। খুব ফাস্ট।” গন্তব্যে পৌঁছে ট্যাক্সি ড্রাইভার তার কাছে ১৫০০ রুপি চাইল। জাপানী অবাক হল। সে ভেবেছিল ভাড়া ৫০০ রুপি হবে। অবাক হয়ে সে জানতে চাইল, “ভাড়া এতো বেশী কেন হল?” ট্যাক্সি ড্রাইভার বলল, “মিটার খুব ফাস্ট। ইন্ডিয়ায় বানানো।”

.......................................................................................................................................................

 

বল্টু প্রতিদিন বিধাতার উদ্দ্যেশে একটা করে চিঠি লিখত আর বেলুনে

বেধে আকাশে উড়িয়ে দিত।।

চিঠিতে লিখত, "হে বিধাতা, আমাকে ১ লক্ষ টাকা দাও।"

বল্টুর বাড়ির পাশেই ছিল থানা। চিঠিসহ বেলুন উড়ে গিয়ে পড়ত থানায়।।

থানার পুলিশেরা প্রতিদিন বল্টুর চিঠি পড়ত। তারা ভাবল- ছেলেটার মনে হয়

টাকাটার খুব প্রয়োজন।

তাই তারা সকলে মিলে টাকা তুলতে লাগল। খুব চেষ্টা করে তারা ৫০ হাজার টাকা যোগাড় করে একজন পুলিশকে টাকাসহ পাঠাল বল্টুর কাছে। তারপর পুলিশটি বল্টুকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে দিল।। 

তার পরের দিন বল্টু আবার একটা চিঠি লিখে বেলুনসহ উড়িয়ে দিল।সেই চিঠিও পুলিশের হাতে গিয়েই পড়ল। তাতে লেখা ছিল-

"হে বিধাতা, টাকাটা যখন দিলেই, পুলিশকে দিলে কেন? শালারা, অর্ধেক টাকা মেরে দিয়েছে।

 

.......................................................................................................................................................

 

কেউ.... দিনে দেয়,

কেউবা.... রাতে শোয়ার পর...

কেউ একটু দিয়েই আবার টেপা শুরু করে...

কারোর অল্প সময় দিলেই হয়ে যায়,

কারো আবার অনে...ক্খন ধরে দিতে হয়...

কেউ আবার একটুখানি দেয় - আবার একটু টেপে - আবার একটু দেয় - আবার একটু টেপে..

কেউ সারারাত ধরে দেয..

আর কেউ ভোরবেলা উঠে দেয..

আবার কেউ সকালে অফিস যাওয়ার আগে ১৫ মিনিট ধরে দিয়ে যায়

কারো ২মিনিট দিলেই হয়ে যায়,

আর কারো সারারাত দিলেও হয় না..

এভাবেই চলে আমাদের.....রোজ

"মোবাইল চার্জ" দেওয়ার কাহিনী.....

 

.......................................................................................................................................................

 

রাত দুইটার দিকে এক লোককে রাস্তায় থামিয়েছে পুলিশ।

অফিসার জিজ্ঞেস করল, ‘এতো রাতে গাড়ি নিয়ে কোথায় যাচ্ছে?’

লোকটা উত্তর দিল, ‘একটা লেকচার শুনতে যাচ্ছি মদ খাওয়া আর সিগ্রেট খাওয়ার নানা ধরণের অপকারীতা সম্বন্ধে।’

‘বল কি? এতো রাতে তোমাকে কে লেকচার শোনাবে?’

‘আর কে? আমার বউ।’

 .......................................................................................................................................................

 

এক লোক তার স্ত্রীকে নিয়ে রাতে গাড়ী চালিয়ে ফিরছে। পুলিশ তাকে থামাল।

অফিসারঃ তুমি ৬০ এর জোনে ৯০ তে যাচ্ছিলে।

ড্রাইভারঃ না তো। আমি তো ৬০ এই যাচ্ছিলাম।

স্ত্রীঃ মিথ্যে বল না হ্যারি। তুমি ৯০ তেই যাচ্ছিলে।

অফিসারঃ তোমার টেইল লাইট দেখলাম ভাঙ্গা। ঐ জন্যেও একটা টিকেট দেব।

ড্রাইভারঃ বল কি? ওটা কখন ভাঙল?

স্ত্রীঃ ভান কর না হ্যারি। ওটা মাস খানেক আগেই ভেঙেছে। তুমি তো জানই।

অফিসারঃ তোমার সিট বেল্ট পরা ছিল না। ঐজন্য আরেকটা সাইটেশন দেব।

ড্রাইভারঃ কসম অফিসার, সিট বেল্ট পরা ছিল। তুমি থামানোর পর খুলেছি।

স্ত্রীঃ মিথ্যে বল না হ্যারি। তুমি কোন দিনই সিট বেল্ট পর না।

এইবার ড্রাইভার খুব ক্ষেপে গিয়ে স্ত্রীকে ধমক দিল। “তোমার মুখটা একটু বন্ধ রাখতে পারছ না?”

অফিসারঃ ম্যাডাম, সে কি আপনার সাথে সব সময় এইরকম খারাপ ব্যাবহার করে।

স্ত্রীঃ একমাত্র যখন মাতাল থাকে তখন।”

 .......................................................................................................................................................

LAPD, FBI আর CIA প্রমাণ করবার চেষ্টা করছে যে অপরাধী ধরায় তারাই শ্রেষ্ঠ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাদেরকে পরীক্ষা করবে। সে তিনটা ভিন্ন জঙ্গলের মধ্যে একটা করে খরগোশ ছেড়ে দিয়ে প্রতিটা দলকে একটা জঙ্গল দিয়ে বলল খরগোশ ধরে আনতে। যারা আগে ধরতে পারবে তারা জিতবে।  

CIA গেল। তারা জঙ্গলের মধ্যে ইনফরম্যান্ট বসাল। প্রত্যেকটা গাছ আর প্রাণীকে জিজ্ঞাসাবাদ করল। তিন মাস পরে এসে রিপোর্ট দিল, সেই জঙ্গলে কোন খরগোশ নেই।

FBI গেল। তারা সপ্তাহ দুই জঙ্গলের মধ্যে খুব খোঁজাখুঁজি করে যখন খরগোশ খুঁজে পেল না তখন পুরো জঙ্গল জ্বালিয়ে দিল। খরগোশ যদি থেকেও থাকে ঐ আগুনেই জ্বলে পুড়ে যাবে। এইবার বোঝ শালা খরগোশ, পালিয়ে থাকার মজা!

পরিশেষে গেল LAPD – লস এঞ্জেলস পুলিশ ডিপার্টমেন্ট। দুই ঘন্টার মধ্যে তারা একটা ভালুককে পেটাতে পেটাতে টেনে হেঁচড়ে জঙ্গল থেকে বের করে নিয়ে এলো। ভালুকটা চীৎকার করছে, ‘ঠিক আছে! ঠিক আছে! আমি খরগোশ! আমি খরগোশ!”

 .......................................................................................................................................................

এক ধার্মিক বৃদ্ধা জনৈক নাস্তিকের পাশের এপার্টমেন্টে বাস করত। তার বাসার সামনে দিয়ে কেউ গেলেই সে বলে উঠত, “আল্লাহই সকলের প্রভু।” নাস্তিক এই কথা শূনলেই বিরক্ত হয়ে চীৎকার করে ওঠে, “আমি ঐসব বিশ্বাস করি না।”

কিছুদিন পর বৃদ্ধার অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। সে একদিন উঁচু কন্ঠে প্রার্থনা করছে, “হে আল্লাহ, আমার জন্য কিছু খাবার দাবার বাজার করে পাঠাও। আমি ভুখা।” সেই কথা শুনে নাস্তিক ভাবল, বৃদ্ধাকে নিয়ে একটু তামাশা করার এটাই সুযোগ। সে নিজেই বাজারে গিয়ে বেশ কিছু খাবার দাবার কিনে এনে বৃদ্ধার দরজার সামনে রেখে দিল। পরদিন সকালে বৃদ্ধা দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে বাজার দেখেই খুশীতে চীৎকার করে বলে উঠল, “হে আল্লাহ, তোমার কি  অপার করুণা! সকল প্রশংসা তোমারই!” সেই কথা শূনে নাস্তিক বাইরে বেরিয়ে এসে  হাসতে হাসতে বলল, “বুড়ী, তোমার আল্লাহ তোমাকে বাজার করে পাঠায় নি। আমি নিজের টাকা দিয়ে বাজার থেকে এই সব তোমার জন্য কিনে এনেছি এটা বোঝানোর জন্য যে তোমার বিশ্বাস পুরোটাই মিথ্যে।”

এই কথা শুনে বৃদ্ধা ভয়ানক খুশী হয়ে হাত তালি দিয়ে উঠে বলল, “তোমার কি ক্ষমতা প্রভু। শুধু যে এক নাস্তিককে  দিয়ে বাজার করিয়েছ তাই নয়, বাজারের খরচটাও তার পকেট থেকেই বের করে নিয়েছ!”

 .......................................................................................................................................................

 

প্রচণ্ড অলস এক লোক বড়শিতে মাছ তুলে বসে আছেন...

পাশ দিয়ে একজনকে যেতে দেখে কোমল স্বরে বললেন, "ভাই মাছটা একটু খুলে দেবেন?" 

একটু বিরক্ত হয়েও মাছটা খুলে দিলেন লোকটি। তারপর বললেন, এত অলস আপনি!

আপনি একটা বিয়ে করুন, ছেলেপিলে হলে আপনাকে কাজে সাহায্য করতে পারবে।

উত্তর এলো "ভাই, আপনার জানাশোনা কোনো গর্ভবতী মেয়ে আছে?"

.......................................................................................................................................................

 

দুটি বালক একটা বিরাট ব্যাগ ভর্তি কমলা চুরি করেছে প্রতিবেশীর বাসা থেকে। তারা পাশেই এক কবরখানায় এসেছে সবার চোখের আড়ালে কমলাগুলো দু’জনার মধ্যে ভাগ করে নেবার জন্য। সেখানে আসার পথে ব্যাগ থেকে দুটা কমলা পড়ে গেল। তারা সেগুলো তুলে নিল না। ব্যাগেইতো কত কমলা আছে।  কিছুক্ষণ পর পাশের এক বার থেকে জনৈক মাতাল পাশ দিয়ে যাবার সময় শুনল কেউ বলছে, “তোর একটা, আমার একটা, তোর একটা, আমার একটা”।

ভয় পেয়ে সে জানপ্রাণ বাজী রেখে এক চার্চে গিয়ে পাদ্রীকে বলল, “ফাদার, প্লিজ আমার সাথে এসো। ঈশ্বর আর শয়তান লাশ ভাগাভাগি করছে কবরখানায়।”

তারা দু’জনে দৌড়ে কবরখানার গেটের সামনে এলো। দূর থেকেই শোনা যাচ্ছে একটা কণ্ঠস্বর বলছে, “তোর একটা, আমার একটা, তোর একটা, আমার একটা”...কন্ঠস্বরটা হঠাৎ একটু থেমে গিয়ে বলল, “গেটের পাশে যে দুইটা আছে ওগুলো কি হবে?”

এই কথা শূনেই পাদ্রী এবং মাতাল দু’ জনে পড়ি মড়ি করে ছুট দিল। পাদ্রী দৌড়াতে দৌড়াতে চীৎকার করে বলতে লাগল, “আমরা এখনও মরি নি!” 

.......................................................................................................................................................

 

এক মহিলা ফার্মেসিতে গিয়ে সায়ানাইড চাইল। ফার্মাসিস্ট বলল, “সায়ানাইড দিয়ে কি করবে?”

“আমার স্বামীকে খাওয়াব।”

“সে তো মারা যাবে।”

“জানি।”

“আমি জেনে শূনে তোমাকে খুন করার জন্য সায়ানাইড দিতে পারি না,” ফার্মাসিস্ট বলল।

মহিলা তার সামনে একটা ছবি মেলে ধরল। ফার্মাসিস্টের স্ত্রীর সাথে মহিলার স্বামী, বিছানায়। ফার্মাসিস্ট বল্ল,”তোমার প্রেসক্রিপশন আছে সেটাতো বল নি।”

 

 .......................................................................................................................................................

এক রাজনিতিবিদ গেছে ইন্ডীয়ান রিজার্ভেশনে, নেটিভ ইন্ডীয়ানদের ভোট পাবার আশায়। সে বক্তৃতা দিচ্ছে, ‘যদি আমি ভোটে জিততে পারি তাহলে সব নেটিভ ইন্ডীয়ানদের জন্য ফ্রি উচ্চ শিক্ষার ব্যবস্থা করব।’ এই কথা শুনে উপস্থিত জনতা খুব হৈ চৈ করে চীৎকার করে উঠল, ‘হোয়া। হোয়া।’

রাজনীতিবিদ তো খুব খুশি। শব্দটার মানে না জানলেও সে ভাবল তারা নিশ্চয় ভালো কিছুই বলছে। সে আরও জোর গলায় বলল, ‘যদি আমি জিতি তাহলে সব নেটিভ ইন্ডীয়ানদের চিকিৎসা ফ্রি করে দেব।’ জনতা এবার আরোও জোরে বলে উঠল, ‘হোয়া, হোয়া।’

রাজনীতিবিদ ভাবল সে এদের সবাইকে জয় করে নিয়েছে। ভোটে সে নির্ঘাত জিতবে। সে মঞ্চ থেকে নেমে এসে কারো কারো সাথে হাত মেলাল। কাছেই এক দল গরু চরছে দেখে সে গদ্গদ হয়ে বলল, ‘আমাদের বিরাট ফার্ম ছিল। গবাদি পশু আমার খুব পছন্দ। আমি কি ওদের গায়ে একটু হাত বোলাতে পারি?’

তার ইন্ডিয়ান সঙ্গী বলল, ‘নিশ্চয়। তবে আবার হোয়া-য় পা দিও না যেন। খুব দুর্গন্ধ!’”

 

.......................................................................................................................................................