নিশুতি রাতের যন্ত্র শকট

লেখক: শাহিনা রহমান Category: ছোট গল্প (Short Story) Edition: Dhaboman - Fall 2018

 

...আবার আসছে সেই যন্ত্রশকট!

              লিভিংরুমে, ডাইনিং টেবিলের পাশে একটা চেয়ারে বসে জেগে থাকবার আপ্রাণ চেষ্টা করছে বীণা। অনেক ব্যাস্ততায় গেছে সারাটা দিন। সেই ভোরে উঠে নামাজ পড়েছে, রাস্তায় ভীড় এড়ানোর জন্য সকাল সকাল কাজে গেছে, তার কাস্টোমার রিলেশনশিপের কাজে সারা দিনের হাঁড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে বাসায় ফিরতে ফিরতে শেষ বিকেল। কোনরকমে স্নান সেরে, নাকে মুখে অল্প কিছু খাবার গুঁজে এখানে এই ডাইনিং টেবিলের পাশে এসে ঘাপটি মেরে বসে আছে সে, ধীরে বিকেল গড়িয়ে সাঁঝ নেমে এসেছে, তারপর আঁধারে ডুবেছে ধরণী, এক সময় রাত গড়িয়ে ভোর হই হই করছে।

ডাইনিং স্পেসের ঠিক সাথেই লাগোয়া সিঁড়ি, উপরে উঠলেই পাশাপাশি তিনখানা শোবার ঘর, নীচে বসেই নজরে পড়ে। কাঠের সিঁড়ি, লোহার গ্রিল, কাঠের হ্যান্ড রেইল। মনির খুব শখের সিঁড়ি। জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছে পনের তলার একটা ছোট এপার্টমেন্টে, কদিন পর পরই এলিভেটর নষ্ট, গরমে সেদ্ধ হবার জোগাড়, একটা সাধারণ ডাইনিং টেবিল পাতার জায়গাও ছিল না, ক্ষয়ে যাওয়া কাঠের মেঝে, বেলকনি হয়ে উঠেছিল শত কবুতরের নীড়। ছেলেটা সবসম্য় স্বপ্ন দেখেছে একটা সুন্দর পরিবেশে ছিমছাম একটা প্রশস্ত বাসার।  

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া শেষ হবার পর, কাজ পেতে অনেক সমস্যা হল ওর। কাজের বাজার হঠাৎ করেই মন্দা, বেতনের অবস্থা খুবই খারাপ, প্রচুর মানুষ কাজ খুঁজছে – একটা কিছু হতে হতে বছর গড়িয়ে গেল। যাও বা পেল তাও এমন কিছু বলিহারি নয়, তবে নেই মামার চেয়ে কানা মামাই ভালো। ছেলেটা ভীষণ খাটে, ওপরে ওঠার স্বপ্ন দেখে। সারাটা জীবন যার কাটে স্ংগ্রামের মধ্যে তার মধ্যে কিছু উচ্চমুখী স্বপ্ন তো গড়ে উঠবেই। বীণা ঠিকই বুঝেছিল ছেলেটার আচমকা বাড়ি কিনবার তাগিদের কারণ। একটা ভালো পরিবেশে সুন্দর একটা বাড়ী। দোতলা, বছর বিশেকের পুরানো বাড়ী, ভেতরে লোহার গ্রীল আর কাঠের হ্যান্ড্ রেইল দেয়া চমৎকার সিঁড়ি। এপার্টমেন্ট ছেড়ে একরকম ছিটকে বেরিয়ে এসেছে সে। প্রয়োজনের চেয়ে এক মুহুর্ত বেশী থাকতে চায়নি।

ঐ ছোট্ট এপার্টমেন্টটা ভাড়া করবার চেয়ে বেশী সামর্থ বীণার ছিল না। সেই ছোট্ট, দুর্গন্ধময় এপার্টমেন্ট। একাকী ছেলেটাকে বড় করেছিল সে। সামান্য চাকরীর সামান্য অর্থ দিয়ে। দেশে গরীব বাবা মায়ের জন্যও কিছু পাঠাতে হয়েছে। তার উপর রয়েছে স্বামী, মনির বাবা – দূরত্ব যতই থাকুক, তার আর্থিক প্রয়োজনও মাঝে মাঝে মেটাতে হয়েছে।

...আবার আসছে ট্রেনটা..আবার!

তার এগিয়ে আসবার গর্জন, ছুটন্ত শরীরের কাঁপুনি এখানে বসেও স্পষ্ট অনুভব করা যায়, আর বাঁশীর তীব্র নিনাদ বাতাসে আলোড়ন তোলে। শহরের একেবারে বুক চিরে ছুটে চলেছে মালবাহী ট্রেনটা । প্রতি রাতেই যায়। শেষ রাতে। দেয়ালে টাঙানো ঘড়ির দিকে তাকায় সে। তিনটা বাজে। সে জানতো।

ট্রেন নিয়ে কত অপুর্ব স্মৃতিই না রয়েছে তার! বেলুচিস্থান এক্সপ্রেস – পশ্চিম পাকিস্থানের বুক চিরে একদল যুদ্ধ বন্দীকে বুকে নিয়ে যেটা ছুটে চলেছিল ফোর্ট সান্ডামান লক্ষ্য করে। যুদ্ধবন্দীদের ক্যাম্প। সময়টা ১৯৭১। পুর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্থানের মধ্যে চলছে যুদ্ধ। তার বাবা কাজ করতেন করাচীতে, সেখান থেকে তাদের সমস্ত পরিবারকে বন্দী করা হয়। বাবা স্বপ্ন দেখতেন পুর্ব পাকিস্থানের হয়ে যুদ্ধে যাবেন স্বৈরাচারী পশ্চিমের বিরুদ্ধে। তার পরিবর্তে তাকে বন্দী করে তার পরিবার সহ পাঠিয়ে দেয়া হল এক প্রত্যন্ত বন্দী শিবিরে। যুদ্ধ চলুক আর না চলুক, ট্রেনের মধ্যে সেই কয়েকটা দিন ছিল যেন এক স্বপ্নপুরীর মত। তার ভাইয়েরা তার চেয়ে কিছু বড় ছিল। সব মিলিয়ে তাদের এক অভূতপূর্ব অভিজ্ঞতা হয়েছিল।

মালবাহী ট্রেনটা শহরের সীমানার মধ্যে ধীরে ধীরে চলে। তার বাসার দক্ষিণে সামান্য পথ গেলেই লেক ওন্টারিওর পানিতে যেভাবে নীল পানির মধ্যে সর্বক্ষন একটা ছন্দময় ঢেউয়ের দুলুনী চলতে থাকে, ঠিক সেইভাবে ভূমিতে কাঁপন তুলে এগিয়ে যায় যন্ত্র শকটটা। চলন্ত ট্রেনের মধ্যে বসে থাকলে যে ছন্দময় নড়াচড়া অনুভব করা যায়, এখানে বসেও তার সেই অনুভূতিটা হয়…প্রথমে একটু ভালো লাগা, তার পর ঘুম পাড়ানী গানের মত সেটা ধীরে ধীরে শরীরকে যেন অবশ করে দিতে থাকে, খানিকটা ঘুমের মত কিন্তু ঠিক গভীর ঘুম নয়, বরং বাস্তব এবং অবাস্তবের মাঝে কোন এক স্বাপ্নিক জগতের মাঝে ভাসমান হওয়া, যখন বাইরের প্রকৃতি তার গাছপালা, বাসাবাড়ী , পাহাড় পর্বত সব নিয়ে ক্রমাগত দূরে সরে যেতে থাকে, দিগন্তে মিলিয়ে যেতে থাকে।

আবার বেজে ওঠে সেই তীক্ষ্ণ নিনাদ। মুহুর্তের জন্য বীণার চোখজোড়া যেন লেগে এসেছিল, ঝটকা মেরে সজাগ হয়ে যায় সে। তার দৃষ্টি সদর দরজার উপর চলে যায়। দরজাটা দুই প্যানেলের, উপরের অংশে কাঁচের জানালা, সেটার নিকেলের ডোর নবের উপর তার দৃষ্টি আটকে থাকে, তালা লাগানো। দেখে স্বস্তি বোধ করে।

এবার তার মনযোগ সরে যায় সিঁড়ির দিকে। উপরের দিকে তাকালে দেখা যায় দোতলার করিডোরটা এবং কামরাগুলোর দরজা। তিনখানা বেডরুম। একটার মধ্যে ঘুমাচ্ছে তার মনি। ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, বিধ্বস্ত মনি। তার হতভাগা সন্তান। ছেলেটার এই একটুখানি জীবনে কত যন্ত্রনাই না তাকে ভোগ করতে হল। মা হিসাবে সে ব্যার্থ হয়েছে। নয় কি? আসলেই কি ব্যার্থ? এক ঝাঁক মেঘ হঠাৎ উড়ে এসে তার চেতনাকে আবৃত করে দেয়, তার মনে হয় সে যেন একটা পানির সরবরে অবস্থান করছে, ডুবছে কিন্তু আবার উত্থিত হচ্ছে, তরল থেকে কুয়াশায় নিমজ্জিত হচ্ছে, তার নিজেকে শিথিল মনে হয়, ভঙ্গুর মনে হয়, মনে হয় এই বুঝি মেঝেতে ধ্বসে পড়বে, অবশেষে ঘুমের উষ্ণ কোলে তলিয়ে যাবে...

একটা শব্দ কানে এলো। না, ট্রেনের নয়...ভুমিতে কাঁপনেরও নয়, তীক্ষ্ণ নিনাদের নয়, একটা ভিন্ন কিছু। সে মনে করার চেষ্টা করে, বোঝার চেষ্টা করে সেটা কিসের শব্দ। পরিশেষে ধরতে পারে। তার সেল ফোন। কোথায় সেটা? টেবিলের উপর। চেয়ারে বসবার সময় সে সেটাকে টেবিলের উপর নামিয়ে রেখেছিল। রাত তিনটা বাজে। এই অসময়ে কে তাকে ফোন করছে?

              ব্যাস্ত হয়ে ফোনটা হাতে তুলে নেয় সে, কল ডিসপ্লেতে লম্বা একটা নাম্বার দেখেই বোঝা গেল ইন্টারন্যাশানাল কল। নিশ্চয় আলম! তার স্বামী প্রবর। বিশ বছর আগে যে লোকটা তার সাথে এই দেশে আসতে চায়নি, যে লোকটা ভেবেছিল সে হবে বাংলা সাহিত্যের মার্ক টোয়েন, কিন্তু আদতে যে কয়েকটা উপন্যাস সে লিখেছে সেগুলোর নামও কেউ শোনেনি, যে লোকটা আজ এতো বছর পর তার স্ত্রী আর পুত্রের কাছে আসতে চায়, যে লোকটা তার পুত্রকে ক্রমাগত ত্যক্ত করছে তাকে স্পন্সর করবার জন্য কারণ বীণা করবে না...অমার্জণীয় এক কট্টর দেশপ্রেমিক বৃদ্ধ বয়েসে এসে হঠাৎ করে জীবনের এক নতুন অর্থ খুঁজে পেয়েছে – তার পরিবার।

ফোনটা ধরল সে। দূরত্ব আছে কিন্তু একেবারে সম্পর্ক বিনষ্ট হয় নি। তাদের মাঝে মাঝে কথাবার্তা হয়, এটা সেটা নিয়ে আলাপ হয়। বহু বছর সে ক্ষিপ্ত হয়ে ছিল কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সেই ক্ষুব্ধতা উবে গেছে। লেখক হিসাবে উত্থিত হবার চেষ্টা করেছিল লোকটা, পারেনি, তার দেশাত্ববোধ এবং উদ্দীপনা ফ্যাঁকাসে হয়ে গেছে সময়ের সাথে সাথে। সে ঘরে ফিরতে চায় – তার স্ত্রী এবং পুত্রের কাছে। কানাডা তাকে ভিসিটর ভিসা দিতে অস্বীকার করেছে।

“হ্যালো? বীণা?” সে মৃদু কন্ঠে কথা বলে ওঠে।

বীণা ফোন তুলে নীরবে লোকটার কথা বলবার জন্য অপেক্ষা করছিল, বরাবরের মতই। তার মনের মধ্যে হঠাৎ এক পশলা ক্রোধ এসে ভীড় করে, সে সঠিক বোঝে না তার উৎসটা কি। কিছু একটা ঘটেছে, ইদানীং। কিন্তু সে কিছুতেই ব্যাপারটা স্মরণ করতে পারে না।

“শুনছি,” সে সংক্ষেপে বলে।

“তোমার ঘুমানোর সময় পেরিয়ে গেছে না?” আলম খুব শান্ত, ধীর কন্ঠে বলে।

“তুমি কেন জানতে চাইছ?” বীনা ক্ষিপ্ত কন্ঠে বলে। “তুমি জানো মনি ঘুমের মধ্যে হাঁটে। আমার সবসময় ভয় হয় রাতে ঘুমের মধ্যে হাঁটতে হাঁটতে দরজা খুলে বাইরের রাস্তায় চলে যাবে। আমাদের বাসাটা মেইন রোডের ঠিক পাশেই। গাড়ী-টাড়ির নীচে চাঁপা পড়াটা অসম্ভব নয়।”

একটা সুদীর্ঘ বিরতি। “ঘুমাতে যাও, বীণা। ওর জন্য দুশ্চিন্তা করবার কোন প্রয়োজন নেই।”

“প্রয়োজন নেই মানে? সারাটা জীবন দূরে থাকলে নিজের খেয়াল খুশী মত জীবন কাটাবে বলে, তুমি এসবের কি বোঝ? আমাদেরকে একা থাকতে দাও, ঠিক আছে? মনিকে অকারণে ফোন করে করে স্পন্সরশীপের জন্য ত্যক্ত বিরক্ত কর না আর। আমিই ওকে বলেছি না করতে। মনে আছে আমাদের সাথে আসতে চাওনি? যেখানে আছো, সেখানেই থাক।”

আলম যখন কথা বলে তার কন্ঠে অসম্ভব সহিষ্ণুতা। “মনি কোথায়?”

“ওর ঘরে। ঘুমাচ্ছে। বাসায় ফিরে দেখলাম ওর ঘরের দরজা বন্ধ। নিশ্চয় দিনটা ভালো যায় নি। কাজে খারাপ সময় যাচ্ছে। ম্যনেজমেন্ট ওর পেছনে লেগেছে। যে মেয়েটাকে পছন্দ করত সেও ওর ফোন ধরে না। তারপর রয়েছ তুমি। এক জিনিষ নিয়ে সমানে বিরক্ত করে চলেছ। ব্যাংকে টাকা পয়সাও নেই, এই বাড়ির ডিপোজিট দিতে গিয়ে সব চলে গেছে। সেদিন খুব রাগ হয়ে গেল আমার। গতকাল?... নাকি তার আগের দিন?...ইদানীং দিন কাল একটু গুলিয়ে যাচ্ছে। আমি ওর জন্য নাস্তা বানিয়েছি। বলে ওর নাকি ক্ষিধে নেই। ওর সমস্ত প্রিয় খাবারগুলো বানালাম আর আমার মুখের উপর এমন একটা কথা বলল? খুব বকাবকি করলাম। ও এমনিতেই বিধ্বস্ত হয়ে ছিল...জানতাম কিন্তু তারপরও আমার মুখের উপর অমন একটা কথা বলায় মেজাজ ঠিক রাখতে পারলাম না। আমাকে কোন সাহসে অবহেলা করে ও? রাগ করাটা ঠিক হয় নি আমার। জানো, দেখলাম খুব কষ্ট পেল। চুপচাপ খেল, সবটুকু। তারপর কাজে যাবার আগে আমাকে একটা  hug দিল। ফিরে এসে দেখি নিজের কামরায় দরজা বন্ধ করে আছে। বিরক্ত করতে চাইনি। আমার রাতের খাবার খেয়ে ওর খাবারটা টেবিলে ঢাকা দিয়ে রাখলাম। ও সাধারণত রাতে উঠে খায়। কিন্তু গতরাতে ওঠে নি...নাকি গত রাতের আগের রাতে? মনে হয় আগের রাতেই হবে...”

“বীণা!” আলম ডাকল, এতো চুপি চুপি যে বীণা প্রায় শূনতেই পায়নি। ট্রেনটা এখনও এগিয়ে চলেছে, ভূমিতে তার চলার কাঁপন এখনও অনুভব করা যায়, তার নিনাদের শব্দ এখনও কানে আসছে।

“কি?”

“এইমাত্র তোমাকে একটা টেক্সট পাঠিয়েছি। দেখ।”

বীণা কান থেকে ফোন নামিয়ে টেক্সট মেসেজ চেক করে। দেখাচ্ছে একটা নতুন মেসেজ এসেছে। খোলে।

মনি ওখানে আর থাকে না

 

“কি বলছ তুমি?” ফোনে কথা বলতে গিয়ে বীণার কন্ঠ কেঁপে ওঠে নিজের অজান্তেই।

“ঐ ট্রেনটা বীণা, ঐ ট্রেনটা। মনে করে দেখ।”

আর সেই মুহুর্তে এক অকস্মাৎ ব্জ্রপাতের মত তার স্মৃতিতে আবির্ভূত হয় সত্যটা, ঠিক যেভাবে তা আবির্ভুত হয়েছিল আগের দিন, কিংবা তারও আগের দিন...

তার সমস্ত শরীর কাঁপতে থাকে, ধপাস করে মেঝেতে পড়ে যায় সে, তার ফোনটা হাত থেকে ছিটকে কোথায় গড়িয়ে যায়, নিজের দুই হাতের মধ্যে মুখখানা ঢেকে এক ভয়াবহ কান্নায় ভেঙে পড়ে সে, চীৎকার করে, ক্রমাগত তীক্ষ্ণ থেকে তীক্ষন্তর হয় সেই আর্তনাদ, এক ক্ষ্যাপা চিতার মত সেটা পিছু নেয় রাত তিনটার মালবাহী ট্রেনটার, তার লেজ ধরে সেটাকে শূন্যে তুলে ফেলে এবং অসম্ভব ক্রোধে এবং ক্ষোভে ক্রমাগত আছাড়াতে থাকে ট্রেন লাইনের উপর যতক্ষণ না তার প্রতিটা অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, একটা মৃত সরিসৃপের মত সেটা নিথর হয়ে যায়, পড়ে থাকে ভূমিতে, যে ভূমিতে যদি কেউ চাঁদের আলোতে কিংবা একটা ফ্লাশ লাইট জ্বালিয়ে খোঁজে তাহলে দেখতে পাবে রক্তের ফোঁটা, লোহার ট্রেন লাইনের উপর, কাঠের উপর, মাটির উপর, ঝোপঝাড়ের উপর।

ট্রেনটা থামতে পারত, পারত না? কিংবা সে নিজেও ঘুমিয়ে না পড়তে পারত। পারত না? এখন সেই ভুলের মাশূল তাকে দিতে হবে, প্রতি রাতে, প্রতিক্ষণে, মনির জন্য।

...ঐ আসছে সেই যন্ত্র শকট, আবার!