নিউইয়র্ক ভ্রমন

লেখক: মো: আল মামুন জাহাংগীর Category: ভ্রমণ (Travel) Edition: Dhaboman - Fall 2018

[মো: আল মামুন জাহাংগীর ১৯৬৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে গনিতে মাষ্টার্স করে ১৯৬৯ সালে সরকারী হাজী মহসিন কলেজে যোগদান করে পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কলেজ, নোয়াখালী সরকারী কলেজ, শরীয়তপুর কলেজ, দিনাজপুর কলেজে অধ্যাপনার শেষে খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজ থেকে অধ্যক্ষ হিসাবে ২০০৩ সালে অবসর গ্রহন করেন।তিনি ১৯৯৭ সালে জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ট শিক্ষক,১৯৯৮ ও ২০০৩ সালে জেলা পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ,২০০৩ সালে জাতীয় শিক্ষক দিবসে জেলা পর্যায়ের কৃতি ও প্রবীন শিক্ষক সম্মাননা প্রাপ্ত হন।তার এ পর্যন্ত ৬টি বই প্রকাশিত হয়েছে এবং বহু বই প্রকাশের অপেক্ষায় আছে। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জনক যারা উভয়েই OPG(Ontario power Generation) কর্মরত। বর্তমানে তিনি সস্ত্রীক কন্যাদের সাথে কানাডায় বসবাস করছেন।]

 

আমার স্ত্রী নিশা ও আশাপা আট বোনের দুজন।পিঠাপিঠি বলে দুজনের মধ্যে খুবই ঘনিষ্ঠতা । আশাপা  বাপের বাড়ী কামারখালী আসলেই বান্ধবীদের খোঁজে বেড়িয়ে পড়তেন। ফলে তাঁর সন্তান সাকি,রাখি ও সৌরভকে দেখে রাখার দায়িত্ব পড়ত নিশার উপর। বিয়ের পর আমরা যতবারই শ্বশুর বাড়ী গিয়েছি ততবারই ঢাকায় আপার বাসা হয়ে গিয়েছি। তিনি তার আন্তরিকতা দিয়ে আমাকেও ছোট ভাই করে নিয়েছিলেন। আমাদের মেয়ে নিমুন ও সিমুনকে যারপরনাই ভালবাসতেন। তাই তিনি যখন সপরিবারে নিউইয়র্ক

চলে আসেন তখন আমাদের অনেক কষ্ট লেগেছিল। তবে তিনি দেশের টানে, আপনদের ভালবাসায় প্রতি বছরই বাংলাদেশে আসতেন। ছুটি নিয়ে হলেও সপরিবারে তাঁকে কিছুদিন সংগ দিতে হত। শেষবার যখন তিনি আসেন তখন আমি অবসর গ্রহন করেছি বলে পূরাটা সময়ই নিশা ও চতুর্থ বোন নয়াবুর সাথে ছিলাম, কয়েক দিন মেজবু’র মেয়ে রিতার বাসায় এবং কয়েক দিন চাচাত ভাই রুমি ভাইয়ের বাসায়।সেখানে অবস্থানকালে নিশা  এপেন্টিসাইটিসে অসুস্থ হয়ে পড়লে রুমি ভাইয়ের শালিকা ডাঃ সুরাইয়া তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে অপারেশনের ব্যবস্থা করে।

মাস খানেক আপার সাথে বাজারে বা এদিক -সেদিক ঘুরাঘুরিতে উপলবদ্ধি  করতে পেরেছি তার মানুষের জন্য কত দরদ এবং মনটা কত প্রশস্ত। আমরা যখন কানাডায় চলে আসি সম্ভবতঃ তিনি বেশী খুশী হয়েছিলেন। নিউইয়র্ক হতে টরেন্টো সার্বক্ষনিক দেখা না হলেও ফোনে দীর্ঘক্ষন কথা হত। তিনি আমাদেরকে দেখতে আসার জন্য অস্থির হয়ে পড়েছিলেন। সেজাপার মেয়ে সুসমিও নিউইয়র্কে থাকে। তিনি ও তাঁর   স্বামী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে অবসরে গিয়ে মাঝে মাঝে নিউইয়র্কে এসে থাকেন। আশাপা সেজাপাকে  নিয়ে কয়েকবার আসার পরিকল্পনাও করে ছিলেন।আমরা তাঁর আগমনের প্রতিক্ষায় ছিলাম।আপা বাংলাদেশের মতই নিউইয়র্কে এসে পরোপকার করে বেড়াতেন।এক মুহূর্তও তার বিশ্রাম ছিলনা।আমরা এখানে ঘরের মধ্যে সারাদিন অন্তরীন থাকি,ভাষার কারনে কারো সাথে আলাপচারিতাও চালাতে পারিনা।সেখানে তিনি কিভাবে তা করতেন তা জানার বড় ইচ্ছে হত। এরই মধ্যে সৌরভ তার স্ত্রী মনি ও ছেলে সৌমকে নিয়ে নিজের কারে করে এসে বেড়িয়ে গেছে। আপাকে সঙ্গে করে আনেনি বলে আমরা মর্মাহত হয়েছিলাম। দেখতে দেখতে অনেক দিন হয়ে গেল। নিমুনদের তেমন সময় সুযোগ হয়ে উঠেনি আমাদেরকে সেখানে নিয়ে যাবার। কোন দেশের অভ্যন্তরে অবস্থানরত কেউ নাগরিকত্ব প্রত্যাশী হলে তাকে অবশ্যই পার্শ্ববর্তী দেশে গিয়ে সীমান্ত অতিক্রম করে পূনরায় ঢুকতে হবে। তাই নিমুনরা আমাদেরকে নায়াগ্রা ফলসের কাছে একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে রাত্রি যাপন করায় এবং সকালে রেইনবো ব্রিজ পার হয়ে কানাডার প্রতিবেশী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রে  প্রবেশ করে বাফেলোর ইমিগ্রেশন অফিসে গিয়ে রিপোর্ট করলে তারা যথারীতি আমাদেরকে প্রত্যাখ্যান করে কানাডার নায়াগ্রা ইমিগ্রেশন অফিসে ফিরিয়ে দেয়। তথায় এসে রিপোর্ট করলে তারা আমাদেরকে কানাডায় ঢুকার স্বীকৃতি দেয়।

আমরা যখন হোটেলে তখন আশাপা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জানতে পারলাম। আমরা বাফেলোতে এসেছিলাম শুনতে পেয়ে তিনি আক্ষেপ করে বলেছিলেন নিশারা এতো কাছে এসেও আমাকে দেখে গেল না।এর কিছুদিন পরেই তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন।ফলে দূই বোনের বিদেশের মাটিতে দেখা হবার ইচ্ছা চিরতরে মুছে গেল।সেই দু:খ আজও বয়ে বেড়াচ্ছি।

এদিকে  আপার মেয়েরা বড় হল, ওদের বিয়ে হল। রাখি স্বামীর সাথে নিউইয়র্কে চলে এল, সাকী স্বামীর সাথে দেশেই রয়ে গেল। আপারা যখন সৌরভকে নিয়ে নিউইয়র্কে চলে আসলেন তখন সাকীদেরকে আর রাখে কে?  রাজবাড়ীতে ভাল ডাক্তার হিসাবে স্বাামী আইয়ুবের নামযশকে ত্যাগ করে সাকী মা-বাবা ও ভাই-বোনের টানে  নিউইয়র্কে পাড়ি দিল। দেখতে দেখতে প্রবাল ও প্রিয়াংকা বড় হয়েছে। প্রবাল ডাক্তার হয়েছে, তার হবু স্ত্রী নিউইয়র্কেই থাকে,এখান থেকেই ইংরেজীতে মাস্টার্স করেছে। সাকির আবদার আমাদেরকে যেতেই হবে। নিমুনদেরকে বলেছে আগে থেকেই যেন ছুটি নিয়ে রাখে। সিমুনেরও একসাথে তিনদিনের ছুটি ছিল। তাই সবাই মিলে যাবার সুযোগ পেয়ে গেলাম।বড় গাড়ীতে একসাথে রওনা দিলাম। সাকীরাও আমাদের পথপানে চেয়েছিল। রাস্তায় কখন কোথায় কি অবস্থায় খোঁজ নিচ্ছিল। পৌঁছে দেখতে পেলাম তারা সবাই বাইরে অপেক্ষমান। থাকা-খাওয়ার পূর্ব পরিকল্পিত ব্যবস্থা। বাইরে থেকে কয়জন আসবে, কে কোথায় থাকবে আগে থেকেই ঠিক করা। কোন বেলা কি খাবে তা রান্না করে ফ্রিজে সুন্দর করে সাজানো আছে। সাকি কোন কাজে আটকা থাকলে আয়ুব, পিয়াংকা, প্রবাল এমনকি অতিথিরাও পরিবেশন করেছে। কোন সমস্যাই হয়নি।

আমার ছোট বোন জেসমিনের বড় মেয়ে শরমিন নিউইয়র্কে টিডি ব্যাংকে কর্মরত। তাকে ফোন করে তার সাথে একদিন বেড়াবার পরিকল্পনা 

করলাম।একদিন তার এপার্টমেন্ট গিয়ে কিছুটা হেঁটে ট্রেনে করে জ্যাকসন হাইটে যাই।এই স্থানটা বাংগালী অধ্যুষিত।দোকান-পাটের মালিক ও কর্মচারী  সবাই বাংগালী।মালপত্রও অধিকাংশই বাংলাদেশীয়।ক্রেতা অধিকাংশ বাংগালী।অনেকদিন পর এত বাংগালী দেখে ও বাংলায় কথা শুনে মন জুড়িয়ে গেল। মেয়েরা দোকানে ঢুকে গেল তাদের প্রয়োজনীয়,  অপ্রয়োজনীয় বা কাউকে দেয়ার জন্য দ্রব্য সামগ্রী কেনার জন্য। কেনাকাটি আর শেষ হয়না। অনেকদিন পর যে সুযোগ এসেছে তা যেন হাতছাড়া না হয়ে যায়। বেলা প্রায় গড়িয়ে পড়েছে,ব্যস্ততায় ক্ষুধার কথাও যেন ভুলে গেছে। একবার বেরিয়ে এলো, মনে করলাম কেনাকাটা বুঝি শেষ হলো। কিন্তু না, মাঝে এসেছে খেতে। ঢুকলাম একটি নামী হোটোলে। দেখতে পেলাম সব খাবারই বাংলাদেশী। শরমিন আমাদের পছন্দ সম্পর্কে অবহিত। সে অনেক রকমের খাবারের অর্ডার দিয়ে আসল। খাবার যখন টেবিলে পরিবেশন করা হল তখন সবার অতি প্রিয় খাবার দেখে আনন্দে লাফিয়ে উঠল। তৃপ্তি সহকারে খাবার  পর আবার তারা আরেক দোকানে ঢুকল। মনে হল এ রকম সুযোগ আর কোন দিন আসবেনা। পুরুষেরা পূর্ববৎ রাস্তায় এদিক-সেদিক ঘুরে কাটালাম। কিছুক্ষনের মধ্যে তারা বেড়িয়ে এসে ট্রেন ধরার জন্য ছুটল। এই ট্রেন মিস করলে নাকি ফিরতে সমস্যা হতে পারে।

বিয়েতে সাকিরা ব্যস্ত তাই একদিন সৌরভকে প্রস্তাব দিলাম আশাপা ও দুলা ভাইয়ের কবর জেয়ারতে যেন আমাদেরকে কোন এক ফাঁকে নিয়ে যায়।সে মতে সে একদিন বিকালে আমাদেরকে তাদের বাসায় নিয়ে গেল কিন্তু সেই গোরস্থান তাদের বাসা থেকে দূরে বলে যাওয়া  আসায় সময় কুলাবেনা বিবেচনায় যাওয়া হল না। অগত্যা রাতে  খাবার পর নিউইয়র্ক শহরের সমস্ত গুরত্বপূর্ন স্থানগুলি দেখতে বেরুলাম। কামরান কার চালালেও সৌরভেরই পরিচালনায় ও বর্ণনায় গভীর রাত পর্যন্ত সব ঘুরে ঘুরে দেখলাম। সৌরভ দীর্ঘদিন এখানে থাকার কারনে এখানকর সব কিছু তার নখ দর্পনে।এই সময়ের মধ্যেই অনেক কিছু দেখে ফেললাম যার সব কিছু মনেও নেই এবং অল্প পরিসরে বিস্তারিত বর্ণনা দেয়া সম্ভব নয়। তাই বিশেষ কয়েকটি অতি সংক্ষেপে লিখার চেষ্টা করলাম।

১) Empire State Building:

 

ম্যানহাটনে অবস্থিত ১০২ তলা একটি বিল্ডিং।নিউইয়র্ক শহরের ডাক নাম এম্পায়ার স্টেট থেকে এর নামকরন। এটি সম্ভবত নিউয়র্ক শহরের সর্বশ্রেষ্ট বৈশিষ্ট। ১৯৩১ সালে ৫ ম এভেনিউতে যখন এর উদ্বোধন করা হয় তখন পৃথিবীর অনেক রেকর্ডকে পেছনে ফেলে  বিশ্বের অষ্টম আশ্চর্য বলে খ্যাতি লাভ করে।এই ভবনের বৈশিষ্ট হচ্ছে অসংখ্য  মুভি এর দেয়ালে অঙ্কিত হয়েছে। এই ভবনে ৫ টি প্রবেশ পথ, ৭৩ টি লিফ্ট। ৮৬ তম  ও ১০২ তম তলায় পর্যবেক্ষন ডেকে পরিদর্শনের জন্য দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনা জানান হয়। ওখান থেকে শহরের সবটুকু  অংশ দেখা যায়। তাছাড়া  ২য় তলায় আছে নিউইয়র্ক আকাশ উড্ডয়ন।আগ্রহীরা এর মাধ্যমে উড়ে সমস্ত শহর ভ্রমন করে, সিনেমার সুটিংও হয়।

)Time Squire

এটি ব্যবসায়িক সংযোগস্থল,পর্যটকদের গন্তব্যস্থল,বিনোদন কেন্দ্র এবং নিউইয়র্কের কেন্দ্র শহর ম্যানহাটনের পাশে অবস্থিত। স্থানটি বিজ্ঞাপন বোর্ড ও বিজ্ঞাপন দ্বারা  উজ্জ্বলভাবে সুশোভিত। একে পৃথিবীর কেন্দ্র, পৃথিবী চৌমাথা,  great White Way  -এর আত্মা ও পৃথিবীর আত্মাও বলা হয়। এটি পৃথিবীর পদব্রজকারীদের ব্যস্ততম এলাকা এবং বিশ্বের প্রমোদ শিল্পের কেন্দ্র এবং খোলা জায়গায় অসংখ্য নাট্যমঞ্চের চক্রকেন্দ্র। প্রতিদিন প্রায় ৩৩০,০০০ লোক টাইম স্কোয়ার দিয়ে যাতায়াত করে।১৯০৭ সাল হতে অদ্যাবধি প্রতি বছর নতুন বছরের প্রাক্কালে One Time Squire বিল্ডিং হতে ঝুলান বলটির পতন ঘটিয়ে নতুন বছরের আগমনকে উৎযাপনের দৃশ্যটি প্রতি বছর এক মিলয়নের অধিক দর্শকদের আকৃষ্ট করে।

)Statue of Liberty:

নিউইয়র্ক পোতাশ্রয়ে স্বাধীনতা দ্বীপে বসান তাম্র নির্মিত এই মুর্তি ফ্রান্সের লোকেরা যুক্তরাষ্ট্রের জনগনকে ১৮৮৬ সালের  ২৮শে অক্টোবর উৎসর্গ করে। মুর্তিটি একটি অপহৃত নারীর যা রুমানের স্বাধীনতা দেবতার প্রতিমুর্তি।তার ডানহাতে মাথার উপর একটি মশাল,বাম হাতের ফলকটিতে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষনার তারিখ,তার পায়ের মধ্যে একটি ছিন্ন চেইন।

সেই দ্বীপে যাবার জন্য ফেরিতে টিকেট করতে হয়।জার্সি শহরের লিবার্টি পার্ক  ও লোয়ার ম্যানহাটনের বেটারী পার্ক থেকে ফেরি এলিস দ্বীপে যায়।দর্শনার্থী যারা মুর্তি বা স্তম্ভমূলে প্রবেশ করতে চায় তাদেরকে বিশেষ টিকেট কিনতে হয়।প্রাপ্ত বয়স্ক যারা মুর্তির চুড়ায় উঠতে চায় তাদেরকেও বিশেষ টিকেট করতে হয়। দশজন দশজন করে  এক সাথে তিনগ্রুপ করে দিনে ২৪০ জনের উপরে উঠার অনুমতি আছে। যারা উপরে উঠবে তাদেরকে সঙ্গে করে ঔষধ ও ক্যামেরা নিতে দেয়া হয়।সঙ্গের অন্যান্য জিনিস রাখার জন্য লকার আছে।স্তম্ভমূলে ঢুকতে ও উঠতে পূনরায় নিরাপত্তাজনিত তল্লাশী চালানো হয়।

)One world trade center:

পশ্চিম হেমিস্ফেয়ারের সবচেয়ে উঁচু এই দালান উচ্চতায় ১৭৭৫ ফুট এবং নিউ ইয়র্কের একটি আইকনিক ল্যান্ডমার্ক। টুইন টাওয়ার ধ্বংস হবার পর এই নতুন ইমারতটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এটির উন্মোচন হয় ২০১৪ সালের অক্টোবার মাসে। এর ভেতরে রয়েছে তিন মিলিয়ন স্কোয়ার ফিট ভাড়াযোগ্য এলাকা, ৫৪টি হাই স্পিড এলিভেটর। ২০১৫ সালে উন্মোচিত হয় ওয়ান ওয়ার্ল্ড অবজারভেটরি – ১২৫০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত একটি চারদিকে ঘেরা অব্জারভেশন ডেক। এই দালানটির উপরে রয়েছে ৪০৮ ফুট উঁচু টাওয়ার। রাতে এর চূড়া থেকে একটা আলোর রশ্মি ভূমিতে নিক্ষিপ্ত করা হয়, যা অনেক দূর থেকেও দৃশ্যমান হয়।