আমাদের সীমাবদ্ধ জীবনটাই
অনেক রঙিন ছিল
কি বলো ? তাই না?
দুটো ভাঁজ করে রাখা তোলা শাড়ী
আলমারীতে ন্যপথলিনের গন্ধ,
এমন কি
তোমার সংগে দেখা হবে বলে
একটু সুগন্ধী ও।
ঘেমো দুপুর,
দুপুর দুটো বাজলে পরে
রেডিওর নাটক-
ভাত ঘুমের পর কখনও
মা এর গয়না গুলো
নেড়ে চেড়ে দেখা ।
জানো তো
তোমার পাট করে রাখা
সেই হলদে পান্জাবীটা
খুব প্রিয় ছিল আমার।
রেলরাস্তার ওপারে মাঠের হাতছানি
কৃষ্ণচূড়ার ডালে ফিঙের নাচন
আর সবটা জুড়ে ছিলে তুমি।
কত সহজেই বিহ্বল হয়ে যেত
আমাদের সময়গুলো।
উপল পাহাড়ে গড়িয়ে পরা জোছনা
দেখতে দেখতে ভালোবাসতে শিখেছি
ভালোবাসা চিনতে শিখেছি ,
বুঝতে শিখেছি
তোমার গভীর মায়াবী চাহনী ,
কত ভালোবেসে
না বলা কথায় বলে গেছ কত কথা।
কোন এক চৈতালী দিনে
দু কলি গেয়েছিলে ,সবটুকু ভালোলাগা নিয়ে।
সেই সুর জলতরঙ্গের মত
কাঁপন ধরিয়েছিল আমাতে ।
পাড়ার পথে শেষ বিকেলে
হঠাৎ তোমাকে দেখা
অনুঢ়া জীবনে রঙ ঢেলে দিয়েছিল চকিতে
!
সেই দেখা হওয়া মুহুর্তটাই ছিল
সর্বশ্রেষ্ঠ সময় আমার।
দুপেয়ে পথে হাটা হয়নি তবু
আশা নিয়ে কেটে গেছে রাত্রিদিন ,
সে আশাটাই কত রঙিন ছিল
বলো তো?
বই এর ভাঁজে গোপন একটা চিঠি ,
সন্ধ্যা নামার পর বুকের ভেতর দীর্ঘশ্বাস ,
আমাদের সেই প্রতীক্ষাটাই ভালো ছিল ।
এখন ও কি তেমন করেই ভাবো
শহরতলীর দুবেনী করা মেয়েটিকে
চায়ের পেয়ালা হাতে নিয়ে ?
মনের দেয়ালে আকাঁ তোমার ছবিটা
প্রতিদিন আর ও উজ্জ্বল হয় -
আনকোরা শাড়ী জমানো আলমারীর
দরজা খুলতে খুলতে আমি ভাবি
তোমার সাথে দেখা হবার
তাড়া নেই এখন আর !